নন্দীগ্রামে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

Mamun Ahmed, staff reporter

উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর ওমরপুর হাটের সরকারি জায়গায় সদ্য নির্মাণাধীন দোকানঘর ভেঙে দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে তিনি সঙ্গে পুলিশ আনেননি। বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভা এলাকার ওমরপুর হাটের জায়গায় ইট দিয়ে অবৈধভাবে গোডাউন আকারে ঘর নির্মাণকাজ করছিলেন ওই এলাকার মরহুম হাফেজ তায়েজ উদ্দিনের ছেলে হাফেজ নুর মোহাম্মদ। এ খবর পেয়ে গতকাল রোববার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম তার দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান। ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই লাথি মেরে ভেঙে দেন সদ্য নির্মাণাধীন ইটের দেয়াল। এসময় সদর ইউনিয়নের তহসিলদার জিন্নাতুল ইসলাম, সার্ভেয়ার শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মকর্তা উচ্ছেদ কাজে সহযোগিতা করেন। জানা গেছে, ওমরপুর হাটে প্রবেশমুখে সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় গত এক সপ্তাহ ধরে গোডাউন আকারে ঘর নির্মাণকাজ করছিলেন হাফেজ নুর মোহাম্মদ। বেশ কয়েকবছর তিনটি টিনের দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় টিনের তিনটি দোকানঘর একত্রিত করে সম্প্রতি ইট দিয়ে গোডাউন আকারে ঘর নির্মাণকাজ শুরু করেন। প্রশাসনের কর্তাদের চোখ ফাঁকি দিতে চারপাশে টিন দিয়ে ঘিরে সামনে টিনের দরজায় তালা ঝুলিয়ে রাখেন। ভিতরে শ্রমিক দিয়ে দিনে ও রাতে ইটের দেয়াল নির্মাণ চলছিল। গত শনিবার নির্মাণাধীন ঘরের সামনে ইট ও বালু নামানোর পরই বিষয়টি প্রকাশ পায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম জানান, ওমরপুর হাটের সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। নির্মাণাধীন ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তেমন পরিবেশ ছিলনা, তাই সঙ্গে পুলিশ নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। হাটের জায়গায় কেউ অবৈধ স্থাপনা করার চেষ্টা করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঘর নির্মাণকারী হাফেজ নুর মোহাম্মদ বলেন, তাদের বেশকিছু জমি হাটের জন্য নিয়েছে সরকার। এখনো সেই টাকা তারা নেননি। পৈতৃক হলেও জায়গা এখন হাটের। সেখানে টিনের ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ভাড়া দিয়ে সংসারের খরচ চলছিল। ঘরগুলো নিচুতে হওয়ায় নতুন করে ভরাট ও ইটের দেয়াল নির্মাণ করছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেট এসে ভেঙে দিয়েছে।

AttarJournal24/Mamun

Some more such news

EN