চীনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অস্ত্রশিল্পে সহায়তার অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। চীন অবশ্য বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। এশীয় পরাশক্তি দেশটির দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তারা নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে।
সোমবার আল জাজিরা বলেছে, ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, চীন সরাসরি রাশিয়ার সামরিক শিল্পে সহায়তা দিচ্ছে– এমন তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। কিয়েভের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ওলেহ ইভাশচেঙ্কো এ তথ্য জানান।
সোমবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইউক্রেনফর্ম-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইভাশচেঙ্কো বলেন, আমাদের কাছে নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে যে চীন রাশিয়ার অন্তত ২০টি সামরিক কারখানায় গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল সরবরাহ করছে।
চীন অবশ্য বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। তারা দাবি করে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তারা নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে এবং কোনো পক্ষকেই সামরিক সহায়তা দিচ্ছে না। তবে ইউক্রেন বলছে, চীন আসলে রাশিয়াকে যুদ্ধে সহযোগিতা করছে।
ইভাশচেঙ্কোর ভাষ্যমতে, যন্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, বিশেষ রাসায়নিক উপাদান, বারুদ এবং রাশিয়ার সামরিক উৎপাদন কারখানার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ পাঠাচ্ছে চীন।
এএফপি বলেছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেনে তাদের বিশাল বিমান হামলা রুশ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া ছিল বলে জানিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভের বিরুদ্ধে শান্তি প্রচেষ্টা ব্যাহত করার অভিযোগ এনেছে মস্কো।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কিয়েভ কিছু ইউরোপীয় দেশের সমর্থন নিয়ে রাশিয়ার শুরু করা আলোচনা ব্যর্থ করার জন্য একাধিক উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।
শুক্রবারের শেষ থেকে সোমবার ভোরের মধ্যে মস্কো ইউক্রেনে শত শত ড্রোন ছুড়েছে। এতে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে এবং দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন একেবারে পাগল হয়ে গেছেন। আক্রমণের জন্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।