এই এক মৌসুম আগেও আর্লিং হালান্ড ছিলেন ইউরোপের হটকেক। লিওনেল মেসি বিশ্বকাপ না জিতলে হয়তো ২০২৩ সালে ব্যালন ডি’অরটাও জিতে যেতে পারতেন তিনি। তবে সেই হালান্ড নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন এখন। তার দল ম্যানচেস্টার সিটিও হারিয়ে খুঁজছে নিজেদের।
তবে একটা জায়গায় হালান্ড বেশ ধারাবাহিক। আর তা হলো যে কোনো কাপ ফাইনালে সিটির হয়ে পারফর্ম্যান্সের দিক থেকে। না, না! প্রশংসা ভেবে বসবেন না আবার, হালান্ড ধারাবাহিক নেতিবাচক অর্থে। ম্যানচেস্টার সিটিতে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত সাতটি ফাইনালে খেলেছেন আর্লিং হালান্ড। কিন্তু এখনও গোল বা অ্যাসিস্টের খাতাই খুলতে পারেননি এই নরওয়েজিয়ান তারকা।
এফএ কাপ, কমিউনিটি শিল্ড, চ্যাম্পিয়নস লিগ বা সুপার কাপ—সব প্রতিযোগিতার ফাইনালেই ব্যর্থ হালান্ড। সর্বশেষ এফএ কাপ ফাইনালেও গোল না পাওয়ায় আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
শনিবার ফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। পেনাল্টি পেয়েও সমতায় ফিরতে পারেনি তারা। সিটির হয়ে পেনাল্টি নিতে পারতেন হালান্ড। কিন্তু তিনি বল তুলে দেন ওমার মারমুশের হাতে। এই সিদ্ধান্তেই প্রশ্ন উঠেছে।
সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ও (হালান্ড) পেনাল্টি নিতে চাইবে। কিন্তু তারা কেউ কাউকে কিছু বলেনি। এটা একেবারে ম্যাচের মুহূর্তের ওপর নির্ভর করে। কার কী অনুভব হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা ঠিক করেছে, ওমার প্রস্তুত।’
তবে মিসরীয় এই ফরোয়ার্ডকে পেনাল্টি দিয়েও লাভ হয়নি। পেনাল্টিটা ঠেকিয়ে দিয়েছেন ক্রিস্টাল প্যালেসের গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন। সে প্রসঙ্গে গার্দিওলা বলেন, ‘ওমার অনেকটা সময় নিয়ে পেনাল্টি নিতে গেল। এতে চাপ আরও বেড়ে যায়। আর হেন্ডারসন ভালো সেভ করেছে।’
প্রাক্তন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা ও টিভি বিশ্লেষক ওয়েইন রুনি আরও কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ও (হালান্ড) বিশ্বমানের ফরোয়ার্ড। কিন্তু যখন আমরা মেসি বা রোনালদোর কথা বলি, তখন বুঝতে পারি তারা এমন সুযোগ হাতছাড়া করে না। তারা নিজেরাই সব সময় গোল করতে চায়।’
রুনি আরও বলেন, ‘যখন হালান্ড সুযোগ মিস করে, তখন তার মধ্যে সেটা প্রভাব ফেলে। ওয়েম্বলিতে পেনাল্টি নেওয়ার চিন্তাই হয়তো ওর ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছিল। জানি না, কিন্তু ও তো একজন মানুষ।’
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩০ গোল করেছেন হালান্ড। তবে সাতটি পেনাল্টির মধ্যে তিনটিই মিস করেছেন তিনি। পেনাল্টিটা হয়তো সে কারণেও নিতে চাননি তিনি!